নিজস্ব সংবাদদাতা ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড; গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত, তবে চাই বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতি: এসআইও। আমাদের রাজ্যসহ সারা দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত বছর কোভিড-১৯ এর প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পঠনপাঠন শুরু হওয়ার পর আবারও রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা এবং গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো স্টুডেন্টস্ ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থায় রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী।” তবে এই ছুটি কত দিন চলবে সেই বিষয়ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর স্পষ্ট কিছু বলেনি।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা শ্রেণীকক্ষের পঠনপাঠন থেকে বঞ্চিত থাকার ফলে তারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। বহু সংখ্যক পড়ুয়া স্কুলছুট হচ্ছে। এমতবস্থায় সংগঠনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতি শুরু করার জোরালো দাবি তোলা হয়। রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ এই বিষয়ে বলেন, “স্কুল বন্ধ রেখে অনলাইনে পঠনপাঠন কখনই সমাধান নয়। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট যথাযথ সংযোগ নেই। এছাড়া ইন্টারনেটের খরচ জোগাড় করাও অনেকের পক্ষে মুশকিল।”
তিনি বিকল্প শিক্ষণ পদ্ধতি শুরুর প্রস্তাব দিয়ে বলেন, “করোনা সংক্রমণের প্রভাব পর্যালোচনা করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে এলাকা ভিত্তিক শিক্ষা চালু করা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “শহর এলাকায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং গ্রামীণ অঞ্চলে বিকল্প পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালু করা দরকার।” সেই সঙ্গে তিনি ছাত্র সমাজ ও রাজ্যবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।