নিজস্ব সংবাদ দাতা ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-বিভিন্ন সময় আন্তর্জার্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মুর্শিদাবাদের সাফল্য লক্ষ্য করা যায় । এবার আন্তর্জার্তিক কাতা ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় নজর করা সাফল্য লক্ষ্য করা গেলো মুর্শিদাবাদের মতো একটি পিছিয়ে পড়া জেলায় । গত ৩ রা মার্চ থেকে ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত শ্রীলংকার কুরুনেগেলাতে অনুষ্ঠিত হয় “ভিক্টরি ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল কাতা ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ | এই কাতা চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক ছিলো “ইউনিভার্সাল শতোকান ক্যারাটে ইউনিয়ন শ্রীলংকা ব্রাঞ্চ। এই ভার্চুয়াল কাতা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জাপান, চীন , রাশিয়া, ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, সহ বিশ্বের মোট ২৪ টি দেশ । সর্বমোট ১০০২ একহাজার দুই জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। ভারত থেকে মোট ৯ টি দল অংশগ্রহণ করে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদের “মুর্শিদাবাদ ক্যারাটে স্কুল” এর ডোমকল, ইসলামপুর ও রেজিনগর ব্রাঞ্চ থেকে মোট ১৫ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাঁদের মধ্যে থেকে ২ টি স্বর্ণ , একটি রৌপ্য ও ৪ টি ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ৭ টি পদক জয় লাভ করে |
রেজিনগর থানার নাজিরপুর গ্রামের সানজিনা ইসলাম ও ডোমকলের রাইকা চৌধুরী যথাক্রমে ৮ বছর বয়স বিভাগে ও ১০ বছর বয়স বিভাগে স্বর্ণ পদক লাভ করে। ২২-৩৪ বছর বয়স বিভাগে মিরক খান রৌপ্য পদক ও ইব্রাহিম খান, রিয়াজুল ইসলাম ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করে। মিরক ও ইব্রাহিম দুইজনেরই বাড়ি ডোমকলের খান পাড়ায় । অপরদিকে রিয়াজুল ইসলামের বাড়ি ইসলামপুরের হড়হড়িয়া গ্রামে । ১৬-১৭ বছর বয়স বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক ছিনিয়ে নেয় ডোমকলের সাহিল খান ও ১১ বছর বয়স বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পায় ডোমকলের মাসুম বিশ্বাস |
স্বর্ণ পদক জয়ী সানজিনা ইসলাম এর বাবা পেশায় শিক্ষক বাসিরুল ইসলাম বলেন ” এর আগেও আমরা বাংলাদেশ, নেপাল ও রাজস্থানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো ফল করেছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো জায়গায় খেলতে হবে “। আর এক স্বর্ণ পদক জয়ী রাইকা চৌধুরীর বাবা ডোমকল বসন্তপুর জেনারেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মানস রঞ্জন চৌধুরী জানান; ” আমার খুব ভালো লাগছে; আমার মেয়ে এতো ভালো ফল করবে ভাবতেও পারিনি। আত্ম বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য ও আত্ম রক্ষার জন্য সকল কিশোর কিশোরীদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ জরুরি । মুর্শিদাবাদ ক্যারাটে স্কুলের কোচ আলমগীর খান বলেন; “আমার কাজ ভালো মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া, সেটা ভালো করে করছি আসা করি ওরা আরও ভালো ফল করবে” । এই জয়ে খুশির হওয়া গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে। এদের সাফল্য আগামীতে অন্যান্যদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী ।