নিজস্ব সংবাদদাতা, টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:- কোভিড শিখরে দেশ! দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৩ লাখ। কোভিডের দাপটে থরহরি কম্প দেশ। বৃহস্পতিবারই ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ পেরিয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সাম্প্রতিক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সাড়ে তিন লাখ ছুঁইছুঁই দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৩২ হাজার ৭৩০। মারা গিয়েছেন দু’ হাজার ২৬৩ জন। বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৬১৬। সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৭৯ জন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা গতকালই জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই পরিকল্পনা জানিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের।
এদিকে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে পুরনো নীতিতে মহামারি রোখা সম্ভব নয়। বিকল্প পন্থা ভাবা দরকার। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার প্রথম ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর, বিপাকে পড়েছিল প্রশাসন। মারণ ভাইরাসটি সম্পর্কেও কারও ধারণা ছিল না। হাসপাতালে ছিল না যথেষ্ট পরিমাণ শয্যা, ছিল না পর্যাপ্ত টেস্ট কিট।
অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা দিয়েছিল দেশে। সে সময় আমেরিকা কিংবা ইউরোপের চেয়ে আলাদা ছিল না ভারতের পরিস্থিতি।
কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। মারাত্মক অক্সিজেনের সংকট তৈরি হয়েছে দেশে। ভেন্টিলেটর, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, কিংবা হাসপাতালের বেডের সংখ্যা একইভাবে কমছে। এক বছর পরেও কেন তৈরি হল না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ চলছে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল করোনা রুখতে হলে, বর্তমানে মূলত চারটি বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। এক, অক্সিজেন সরবরাহ কীভাবে হবে। দুই, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহের পদ্ধতি। তিন, টিকাকরণের পদ্ধতি। চার, লকডাউনের ক্ষমতা কার কাছে থাকবে।