নিরপরাধ মুসলিমদের সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে জেলে পচানো হচ্ছে, তারপর দশ বিশ বছর পর বলা হচ্ছে নির্দোষ। আর মোদি ২.০ জামানায় ভারতবর্ষে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে! মুসলিমদের জীবনকে নিয়ে একরকম ছিনিমিনি খেলছে আইনের রক্ষনাবেক্ষন ও সুপারিশকারি সাম্প্রদায়িক গোদি লোভিরা।
এই ধরণের প্রোপাগান্ডা করার ফলে সেই যুবক, তাঁর স্ত্রীর, এবং কচিকাঁচা শিশুদের জীবন বিপন্নতার দায়ভার কে নেবে? মুসলিমরা তো সর্বদাই জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত এবং সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধী। তারপরেই তাদেরকেই টার্গেট করে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, খুন করে লাশ গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে, চাকরি-ব্যবসা সহ সমস্ত সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, বিনা কারনে প্রমান ছাড়া শুধুমাত্র সন্দেহের বশে UAPA আইনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ইত্যাদি। এই কালা আইনের আওতায় এনে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল প্রতিবাদি ব্যক্তিত্বকেই গ্রেপ্তার করে প্রতিবাদের ভাষাকে ও স্বাধীনতাকে দমিত করে দেওয়া হচ্ছে।
অথচ, যারা গণহত্যা চালাচ্ছে এবং যেখানে সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না! মুসলিম ব্যক্তিত্ব সহ সমাজের অনেক বিশিষ্ট মানুষই আজ জানতে চাইছেন যে মুসলিমদের উপর সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে গ্রেফতার করা সত্যিই কি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নাকি মুসলিম ও ইসলামকে কলুষিত করার অপকৌশল! যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সত্যিই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তবে আমরা মুসলিমরা সর্বদাই সমস্ত রকম সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। তবে চাই নিরপেক্ষ তদন্ত। যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে,করছে বা করবে উপযুক্ত প্রমাণ হলেই তাকে কঠিনতম শাস্তি প্রদান করা হোক। কিন্তু আইন ও বিচার ব্যবস্থা কে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কোন নিরপরাধ ব্যাক্তি একদিনের জন্যও যেন জেলের ঘানি না টানে। পরম করুনাময় সমস্ত রকমের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মুলোৎপাটন করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন।