কন্যাশ্রী প্রকল্প- ২০২০: পশ্চিমবঙ্গ সরকার

0
Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা :- কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি অভিনব উদ্যোগ যা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সৃজনশীল মানসিকতাই গড়ে ওঠা এই কন্যাশ্রী প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ১ লা অক্টোবর চালু হয়। এটি বর্তমানে ভারতবর্ষের  অন্যান্য রাজ্যেও কার্যকরী হয়েছে এবং বাকি বিশ্ব কে পথ দেখিয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাল্যবিবাহ রোধ করে কিশোরী মেয়েদের অবস্থার উন্নতি ঘটানো।

এই কন্যাশ্রী প্রকল্পে প্রতিটি অঙ্গনারী কেন্দ্র থেকে কিশোরী মেয়েদের কে নিয়ে একটি করে গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। (প্রক্রিয়াকরনটি এখনও চলছে) ২৫ জনের গ্রুপটিতে একজন সখি ও দুজন সাহেলি বাকি সদস্যা নির্বাচন করার মাধ্যমে গ্রুপ টাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ডিপিও সিডিপিও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুপারভাইজার অঙ্গন ওয়়ারী কর্মী ও এনজিওর সহযোগিতার দ্বারা গ্রুপগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৃণমূল স্তরে তাদেরকে মজবুত করা হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা,তারা যেন ভবিষ্যতে মাতৃত্ব কালীন অবস্থায় সুস্থ থাকতে পারেন। পর্যাপ্ত খাবার, আয়রন ট্যাবলেট সেবন এবং জীবাণুমুক্ত জীবন ও নিরাপত্তা বলয়ে থাকতে পারেন। সামাজিক বিভিন্ন বঞ্চনা, ক্রাইম বা বিভিন্ন জুলুম-নিপীড়ন থেকে এমন কী নিজের পরিবার অথবা পাড়া-প্রতিবেশী বা অন্য জায়গা থেকে নেমে আসুক, তা থেকে যাতে দূরে থাকতে পারেন তার সু ব্যবস্থাই হলো এই কন্যাশ্রী প্রকল্প। ১০৯৭ টি থানায় ফোন করে শিশু অপহরণ রোধ করা বা শিশু বঞ্চনার সমস্ত অভিযোগ জানানো। এই সমস্ত কিশোরী মেয়েরা যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিতা হয়ে নৈতিক চারিত্রিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে ভালো মা হতে পারেন, ভালো সামাজিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন পোস্ট অফিস, হাসপাতাল, রেলওয়ে,ব্যাংক,থানা অফিস-আদালত এয়ারপোর্ট, পঞ্চায়েত ,পৌরসভা ওয়ার্ড, নাগরিকত্ব আইন,সম্পত্তির অধিকার, খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন, প্রভৃতি বিষয় গুলি যাতে সুন্দরভাবে অর্জন করতে পারেন, তার সুব্যবস্থা করাঈ হলো এই কন্যাশ্রী প্রকল্প।

প্রতিটি অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান – প্রথা বহির্ভূত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব বিদ্যালয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিল্প প্রশিক্ষণ, এমনকি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় ৪৪ লক্ষ কিশোরীকে এই প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে। এই প্রকল্পটির আরও বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আছে যেমন স্কুল ড্রপআউট প্রতিরোধ করা, যারা বিদ্যালয় আসেনা সেটি আর্থিক সংকট হোক বা পারিবারিক সংকট হোক তারএকটা সুন্দর সমাধান বার করে, তাকে বিদ্যালয়ের আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা,কন্যাশ্রী বেনিফিশিয়ারি পাওয়া এটি নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাওয়া যায়। এটি যেন তারা ভালোভাবে পেতে পারে ও ১৮ বছর বয়স্কা পূর্ণ যুবতী মেয়েতে রূপান্তরিত হতে পারে এটি তারই একটি ছোট্ট প্রয়াস মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের।

এটি আমাদের রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম একটি পছন্দনীয় প্রকল্পের । এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমেই তিনি ইউনাইটেড নেশন থেকে আন্তর্জাতক সেরা পুরস্কারটি পান২০১৭ সালে । ৬৪ টি নির্বাচিত দেশের ৫৫২ টি প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প, বিশ্বের বিভিন্ন জনসেবা প্রকল্প  গুলোর মধ্যে  সবচেয়ে সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। একই সাথে এই প্রকল্পের হাত ধরে গোটা দুনিয়ায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে  ভারতবর্ষের নাম।এই কন্যাশ্রী প্রকল্প টি বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয় বেস্ট পাবলিক সার্ভিস আওয়ার্ড হিসাবে। এটি বাংলা তথা ভারতবর্ষকে মর্যাদার অন্যতম একটি আসনে অধিষ্ঠিত করেন। কন্যাশ্রী প্রকল্প টি একটি প্রশংসনীয় তাৎপর্যপূর্ণ প্রজেক্ট হিসাবে গুরুত্ব লাভ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দুস্থ পরিবারের মানুষগুলো তাদের কন্যা সন্তানদের কে লেখাপড়া শেখাতে পাচ্ছে ও পরবর্তীতে ১৮ বছর উত্তীর্ণ হলে রুপশ্রী আওতায় থেকে বিবাহের সময় এককালীন একটা ভালো অংকের টাকাও পাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের  কন্যাশ্রী কিশোরী মেয়েদের জন্য  কিশোরী কীট,কিশোরী মেয়েদের জন্য খেলার সামগ্রী(LGG) এবং স্কুল ড্রপ আউট কিশোরী মেয়েদেকে বিদ্যালয়েভর্তি করার জন্য সু ব্যবস্থ গ্রহণ এবং স্কুল ড্রপআউট ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক মেয়েদের  মাথাপিছু ৯.৫০  (সাড়ে ন টাকার) খাদ্যদ্রব্য প্রত্যেকদিন অঙ্গনারী মারফত অঙ্গনারী সেন্টার গুলি থেকে  প্রধদান করবার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন  রাজ্য সরকার। তাছাড়াও কিশোরী মেয়েরা  বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষা হাতের কাজ শিখে   স্বনির্ভরশীল হতে পারে তার সুব্যবস্থা ও করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ  ভর্তির প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়ে গেছে।

সুশাসনের নকশা এবং বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য কন্যাশ্রী  প্রকল্প জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।

পুরষ্কার প্রাপ্তি:
ইউএনপিএসএ পুরষ্কার ২০১৭ এ প্রথম স্থান।
আইটিইউ এবং ইউএন উইমেন দ্বারা আয়োজিত জিইএম-টেক অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ চূড়ান্ত  স্থান দখল।
ই-গভর্নমেন্ট বিভাগে ইউনাইটেড নেশনস ডাব্লুএসআইএস পুরস্কার ২০১৭  চ্যাম্পিয়ন (ডাব্লুএসআইএস অ্যাকশন লাইন সি 7) সিএসআই-নিহিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও আরও অনেক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here