টিনিউজ ওয়ার্ল্ড, নিজস্ব সংবাদদাতা :বিজেপি যুব মোর্চার সব জেলা কমিটি বাতিলের পর ইস্তফা সৌমিত্র খাঁ-র
রাজ্য বিজেপিতে ডামাডোল চরমে। রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের ঘোষিত সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশিই বাতিল করা হয়েছে জেলা সভাপতিদের পদও।
শুক্রবার দুপুরে তিনি ওই মর্মে লিখিত নির্দেশ জারি করেছেন। জারি করা ‘সাংগঠনিক ঘোষণা’-য় বলা হয়েছে, ‘অনিবার্য কারণবশত আজ থেকে পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত জেলার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতির পদ ও জেলা কমিটি বাতিল করা হল। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত জেলার বিজেপি সভাপতিগণ এই দায়িত্ব পালন করবেন’।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সভাপতিরা সভাপতি দিলীপের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই সৌমিত্র একতরফা ভাবে কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছেন। অন্তত ৮টি জেলা থেকে ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছিল। কোথাও কোথাও দলীয় কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। প্রকাশ্যে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি। ক্রমাগত অভিযোগ আসতে থাকায় সবক’টি কমিটিই ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
আপাতত ঠিক হয়েছে, পুজোর পর আবার নতুন কমিটি তৈরি করা হবে।
আজ সকাল ৯টা ৪ মিনিট নাগাদ ‘বিজেওআইএম ওয়েস্টবেঙ্গল অফিসিয়াল’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌমিত্র খাঁ লিখেছেন, ‘শুভ মহাষ্টমী। সকলে ভাল থাকবেন। আপনাদের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই বিজেপিকে সরকারে আনতেই হবে। তাই হয়ত আমার অনেক ভুল ছিল যাতে দলের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই আমি ইস্তফা দেব আর সকলে ভাল থাকবেন। যুব মোর্চা জিন্দাবাদ, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ’।
সৌমিত্র ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি-র অন্দরের জটিল সমীকরণ প্রকাশ্যে চলে এসেছে যা আদতে দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায় দ্বন্দ্বকেই স্পষ্ট করছে। সৌমিত্র যুব মোর্চার সভাপতি হয়েছিলেন মূলত কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুলের ‘পছন্দ’ হিসাবে। এরপর থেকেই রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে জলঘোলা শুরু হয়েছে।