নিজস্ব সংবাদদাতা:- ফের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। বিয়ের আগেই গর্ভবতী ! সন্মান রক্ষার্থে মেয়েকে কুপিয়ে খুন করলো বাবা-মা। ‘সম্মান’ এমনই একটা জিনিস যা কখনও কোনকিছুর বিনিময়ে ক্রয় করা যায়না। নম্রতা, ভদ্রতার সাথে অর্জন করে খুব যত্নে আগলে রাখতে হয়। আর সেই সন্মান যখন ক্ষুন্ন হয় তখন কোন বাবা মায়ের মাথা ঠিক থাকে না। এমনই এক ঘটনার নজির গড়াল উত্তরপ্রদেশ। ২০ বছরের মেয়ে অন্তঃসত্বা, সহ্য করতে না পেরে মান-সন্মান হারানোর ভয়ে নিজের মেয়েকে নিজের হাতেই কুপিয়ে খুন করে রেললাইনের উপরে ফেলে এল বাবা-মা। ঘটনার তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে । গত ২৫ অক্টোবর আলবাপুরে রেল লাইনের উপর থেকে মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার হয় । মেয়েটির পরিচয় জানা চেষ্টা করতে থাকে পুলিশ । সে সময় কমলেশ কুমার যাদব, নিজেই স্বীকার করে নেন ওই মৃতদেহ তার মেয়ের।
শুধু তাই নয়, কমলেশ মেয়েকের খুনের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগও দায়ের করে । এরপরেই তদন্তে নামে স্থানীয় থানার পুলিশ । কমলেশ ও তাঁর স্ত্রী অনিতা দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । ময়নাতদন্ত এবং ইউএসজি-তে পরিষ্কার দেখা যায় খুনের সময় গর্ভবতী ছিলেন ওই যুবতী ।
ধীরে ধীরে পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে । শেষ পর্যন্ত জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত কমলেশ ও অনিতা । মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় তারা । পুলিশের কাছে তারা জানায়, লোকলজ্জার ভয়ে গর্ভবতী মেয়েকে তারাই খুন করেছে ।
২৪ অক্টোবর হঠাৎই তারা জানতে পারে মেয়ে ছয় মাসের গর্ভবতী । বারবার তাকে জিজ্ঞাসা করলেও তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা জানায়নি মেয়ে । শেষ পর্যন্ত বাবা-মা, মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় গর্ভপাত করানোর জন্য । কিন্তু ছয় মাস হয়ে যাওয়ায় সেটাও সম্ভব হয় না । এরপরেই মেয়েকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কমলেশ ও অনিতা । রাতের অন্ধকারে রেল লাইনের ধারে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারা ।