নিজস্ব সংবাদদাতা, টি নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ পৃথিবীর দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া জীবন ব্যবস্থা হলো শান্তির ধর্ম ইসলাম। আর ইসলামের এই অগ্রগামীতা রুখতে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। আর এই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হলো ইসলামের ভাবমূর্তিতে আঘাত করা। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ কৌশলের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সিনেমা, সিরিয়াল নাটকের মতো তথ্য প্রযুক্তির উপাদান ব্যবহার করা। মুসলিমদেরকে বিশ্বব্যাপী পিছিয়ে রাখতে এই যুদ্ধ কৌশল সুচারুভাবে ব্যাবহার করছে ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো।
ভারতের বলিউড পশ্চিমা বিশ্বের হলিউড এবং কলকাতার টলিউড এতদিন নিজেদের প্রতিটা সিনেমা এবং নাটকে সর্বদা চেষ্টা করে এসেছে ইসলামকে কালিমালিপ্ত করার। প্রমাণ করার চেষ্টা করে এসেছে ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম এবং মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী সম্প্রদায় হিসেবে। ইসলাম বিরোধিতায় বাংলাদেশের সিনেমাও খুব একটা কম না। মুসলিম দেশ হলেও সেখানে সিনেমাতে নিকৃষ্ট চরিত্রে ব্যাবহার করা হয় মুসলিমদের পোশাক এবং দেহ পরিচিতি।
তবে এবার ভারত এবং বাংলাদশের যৌথ উদ্যোগে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হলো। দেবকে নায়ক দেখানো এই ছবিটিতে সন্ত্রাসীদের দেখানো হয়েছে ধার্মিক মুসলিম হিসেবে। সন্ত্রাসীদের পতাকা হিসেবে কালিমা খচিত পতাকা ব্যাবহার করা হয়েছে।যা ইসলাম এবং সৌদি আরবের পতাকার অবমাননা।
এই সিনেমার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন আলোচিত ইসলামী আলোচক ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ।
তিনি লিখেছেন :
১ম ছবিটি দেখুন। কালেমা খচিত পতাকা, পতাকার নীচের অংশে AK-47 এর সিম্বল । পতাকার পেছন থেকে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসছে কথিত সন্ত্রাসীরা।
২য় ছবিটিতে দেখুন। চার দিকে আরবি লিখা। টিজারের এই অংশে দেখানো হচ্ছে কথিত সন্ত্রাসীরা সুন্নাতি পোষাক পড়ে “নারায়ে তাকবির” “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দিচ্ছে।
কালেমাধারীদের পরাজিত করার জন্য “নায়ক দেব” যুদ্ধ করে যাবে এই সিনেমাতে। এই মুভিতে দেখাবে ইসলামি জঙ্গিবাদ দমনে নায়ক দেব এসে হাজির হয়েছে। আর জঙ্গিদের সিম্বল হিসাবে কালিমা খচিত পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে সুস্পষ্টভাবে ইসলামকে ডিমোনাইজ করা হচ্ছে। ভিলেন বানিয়েছে ইসলামকে । যা ইচ্ছাকৃত ইসলাম বিদ্বেষ । ইসলাম কখনোই জঙ্গীবাদকে সমর্থন করে না বরং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তথাপিও ইসলাম ও মুসলিমদের দিকেই যারা সন্ত্রাসের তীর বিদ্ধ করে প্রকৃত তারাই সন্ত্রাসী বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
এছাড়াও ইতিমধ্যেই সিনেমার ট্রেলার দেখেই এই সিনেমা বয়কট করার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়া অভিযান শুরু হয়েছে এবং তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়ায়।