নিজস্ব সংবাদদাতা; টি নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ- নুরুজ্জামান, কামরুজ্জামান, আরাবুল সহ একঝাঁক নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর দলে! দেগঙ্গায় প্রার্থী হতে পারেন কামরুজ্জামান। বিজেপি প্রকাশ্য সাম্প্রদায়িক আর তৃণমূল সুপ্ত সাম্প্রদায়িক। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলের উপর যে আস্থা ছিল তা সম্পূর্ণ ব্যার্থ। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে যেভাবে দিন দিন মুসলিম প্রার্থী সংখ্যা কমানো হয়েছে এবং যোগ্য মুসলিম নেতাদের বাদ দিয়ে অর্ধশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত মুসলিম নেতাদেরকে প্রার্থী করছে। এই সমস্ত নানা অভিযোগ তুলে এবার আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) -এ নাম লেখাতে চলেছেন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের অন্যতম সংখ্যালঘু নেতা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। সূত্রের খবর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফুরফুরা শরীফে যেতে পারেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। ফুরফুরা দরবার শরীফের পীর মহলে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ও আইএসএফ দলের চেয়ারম্যান পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। সেই বৈঠকের পর সম্ভবত পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর হাত থেকে আইএসএফ এর দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামতে পারেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। শুধু তাই নয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ভূমিপুত্র হিসাবে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এর ব্যাপক জনসংযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই দেগঙ্গা থেকেই বাম কংগ্রেস সমর্থিত ও আইএসএফ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে পারেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এমনটাই সূত্রের খবর। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যুব ফেডারেশনের কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিন দিন তৃণমূল মুসলিমসম্প্রদায়কে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে আর একের পর এক নির্বাচনে যোগ্য মুসলিম প্রার্থীদের ডানা ছেঁটে দিচ্ছে। আর গুটিকতক অর্ধশিক্ষিত অল্প শিক্ষিত নেতাদেরকে রেখে দিয়ে তৃণমূল মুসলিম প্রীতির কথা বলছে! শুধু তাই নয় অন্যান্য নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাচ্ছে তাতে কোন দোষ নেই। আর কোন দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা রাজনীতিতে নামলে তিনি সাম্প্রদায়িক? এটা কোন যুক্তির ভিত্তিতে তৃণমূল পর্যালোচনা করছে। এই সমস্ত কথা উঠে আসে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের কোর কমিটির বৈঠকে বলে সূত্রের খবর। ওই বৈঠকে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভায় কেন মুসলিম প্রার্থী করা হয় নি। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় যোগ্য মুসলিম প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বহিরাগত প্রার্থী করা হয়েছে কোন যুক্তিতে? আসলে ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে তৃণমূল ধোকা দিচ্ছে। যুব ফেডারেশন এর মতে তৃণমূল কংগ্রেস মুসলিম সম্প্রদায়কে এখন ভোটব্যাঙ্ক ভাবতে শুরু করেছে। তাই নিজেদের অধিকার বুঝে পাওয়ার জন্য এবার রাজনীতির ময়দানে নামা দরকার বলে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আব্বাস সিদ্দিকীর গঠিত আইএসএফ দলে নাম লেখাতে পারেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। শুধু তাই নয় তৃণমূল এর মধ্যে টিকিট পায়নি এমন অনেক মুসলিম নেতাও আইএসএফএ নাম লেখাতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সেই তালিকায় যেমন নাম উঠে আসছে, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ডা: নুরুজ্জামান, কলকাতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়েজুল হক, ভাঙরের তাবড় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, নিয়ামত আলী সহ একঝাঁক নেতার। উল্লেখ্য, আরাবুল ইসলাম ভাঙর থেকে আইএসএফের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, সূত্রের খবর আইএসএফের শীর্ষ নেতৃত্বরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আরাবুল ইসলামকে ক্যানিং পূর্ব থেকে আইএসএফের প্রার্থী হতে হবে। এই ক্যানিং পূর্বে তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা। ক্যানিং পূর্বে শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে তবে কি আইএসএফের প্রার্থী হয়ে সম্মুখ সফরে ভাঙরের “বেতাজ বাদশা” আরাবুল ইসলাম।
তবে আব্বাস সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মধ্যে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকী সহ আইএসএফ এর শীর্ষ নেতৃত্ব। বাকি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও খুব শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন আব্বাস সিদ্দিকী। আরো জানা যায়, আব্বাস সিদ্দিকী নাকি তার ঘনিষ্ঠ মহলে প্রকাশ করেছেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি আইএসএফে যোগ দিলে আইএসএফ আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া যারা দলিত, আদীবাসী, সংখ্যালঘু সহ এককথায় পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করবেন তাঁদের সকলের জন্য আইএসএফের দরজা খোলা বলে আব্বাস সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে প্রকাশ।