নিজস্ব সংবাদদাতা; টিনিউজ ওয়ার্ল্ড; আপনারা অবগত আছেন যে গত দু-তিন দিন আগে মুসলিম এক কিশোর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে সেই ছোট্ট কিশোরকে বেধড়ক লাঠিপেটা; মারধর করা হয়েছিল মন্দিরের ভিতরে। কারণ সেই ছোট্ট কিশোরের অপরাধ হলো মন্দিরে ঢুকে জলপান করা! এই অপরাধে বেধড়ক মারধর করা হয় কিশরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই এই ঘটনার পুরো ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যার জেরে খানিকটা চাপে পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অমানবিক ঘটনায় ফের নিন্দার মুখে যোগী রাজ্য।
শুধু কি এই ঘটনা ঘটে এই ভারতে না অহর অহর ঘটনা ঘটেছে যোগীর রাজ্যে। আজ আবারও ছোট্ট ছেলেটি জলপান করার কারণে মারখেতে হলো।
এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন নিউজ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেই ছোট্ট কিশোরের ও সেই মন্দিরের পন্ডিতেরও। পন্ডিতের দাবি আমাদের এই মন্দিরে অনেক মুসলমান এসে বিভিন্ন ধরনের লোহা প্লাস্টিক সহ নানাধরনের জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনি দাবি করেন।
কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে মন্দিরের গেটের সামনে পোস্টার লাগানো আছে যে; এখানে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
উল্লেখ্য সেই মন্দিরে বড় পোস্টারে লেখা ছিল মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ!! এমন কথা লেখা আছে সেই পোস্টারে মন্দিরের গেটের সামনে। হয়তো এরকমই যদি পোস্টার কোন মাদ্রাসা বা মসজিদে লাগনো থাকতো তাহলে আজ সেই মিডিয়াগুলো তোলপাড় করে দিত কিন্তু আজ সেই দালাল মিডিয়া গুলো চুপ; কারণ হচ্ছে এটা মন্দির। এটা যদি মসজিদ হতো বা মাদ্রাসা হতো তাহলে মন্তব্য করতো বিভিন্ন মিডিয়ার চ্যানেলগুলো যেখানে সন্ত্রাসবাদ শিক্ষা দেওয়া হয়।
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সংসদ তথা লকেট চ্যাটার্জি তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন এক বছর আগে যে; মাদ্রাসায় নাকি সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর মাদ্রাসায় সন্ত্রাসবাদী শিক্ষা দেওয়া হয়। তাই আমার একটাই অনুরোধ লকেট চ্যাটার্জি কে দেখে আসা উচিত। এরকমই ঘটনা লজ্বাজনক