এই মায়ার ভূবন ছেড়ে চলে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্ষিয়ান নেতা সোমেন মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বুধবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেলভিউ হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে গত ২১ জুলাই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সোমেনবাবু। কিন্তু ৯ দিনের মাথায় অসুস্থতার কাছে হার মানলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনীতিতে একটা অধ্যায়ের সম্পাতি ঘটল। তাঁর মৃত্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস-সহ বাংলার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। যদিও দিল্লি এইমসে (AIIMS) তাঁর চিকিৎসা চলত। হঠাৎ নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ায় গত ২১ জুলাই তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে সামান্য জ্বরও ছিল। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই ওই হাসপাতালে ভর্তি হন সোমেনবাবু। পরে অবস্থার অবনতির কারণে আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্রর অবস্থার সে রকম উন্নতি হয় নি। কাজ করছে না তাঁর কিডনি। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার।
১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সোমেন্দ্রনাথ মিত্র। কিন্তু সোমেন মিত্র নামেই পরিচিত ছিলেন সকলের প্রিয় ছোড়দা। ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে ছিলেন কংগ্রেস নেতা। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস নামে নতুন দল গঠন করেন। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই বছরই লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। ২০১৪ সালে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন।