এটিএমে টাকা তুলতে সাহায্য করার নামে মহিলার সাথে প্রতারণা

0
Spread the love

” এ. টি.এম.প্রতারণার কেসে তদন্তে নেমে সালার থানার পুলিশের একটি বড় সাফল্য”

টিনিউজ ওয়ার্ল্ড,নিজস্ব সংবাদদাতা :- গত ইং ২৮শে অক্টোবর ভরতপুর থানা এলাকার একজন জানৈক মহিলা, সালার থানার অন্তর্গত একটি এ. টি. এম. কাউন্টারে একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে টাকা তোলার কিছুক্ষন পর তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার অজ্ঞাতে উক্ত একাউন্ট থেকে তিনবারে মোট ষাট হাজার টাকা তোলা হয়েছে অতঃপর এই ঘটনার তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অন্তর্গত সালার থানার পুলিশ গত ১৬ই ডিসেম্বর সালার থানা এলাকা থেকে দক্ষিণ ২৪পরগনার নিবাসী একজন আসামীকে গ্রেফতার করেন যে ব্যক্তি এ.টি.এম. কাউন্টার থেকে উক্ত মহিলাকে টাকা তুলতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই মুহূর্তে জালিয়াতি করে মহিলার আসল এ.টি.এম. কার্ডের পরিবর্তে নকল এ.টি.এম. কার্ড হস্তান্তর করে তাকে প্রতারিত করে । উক্ত আসামীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তার হেফাজত থেকে উক্ত প্রতারিত মহিলার এ.টি.এম. কার্ড সহ আরো ৫ টি এ.টি.এম. কার্ড এবং নাগদ ১,৩০,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ইতিপূর্বে উক্ত আসামী বিভিন্ন সময়ে এ.টি.এম. থেকে টাকা তোলাকালীন সাহায্যের নাম করে আরো অন্যান্য ব্যক্তির আসল এ.টি.এম. কার্ড হস্তগত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাউন্ট থেকে বহু টাকা আত্মসাৎ করে।

গত ২৪শে ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ পুলিশের আরক্ষাধক্ষ্যের অফিস বহরমপুরে, উদ্ধারকৃত টাকা প্রতারিত গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন মুর্শিদাবাদ পুলিশের আরক্ষাধক্ষ্য, শ্রী কে. সবরী রাজকুমার মহাশয় সহ অতিরিক্ত আরক্ষাধক্ষ্য (সদর), শ্রী সুবিমল পাল, এস.ডি.পি.ও. কান্দি, শ্রী কুমার সানি রাজ।

টাকা ফেরত পেয়ে তারা পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পাশাপাশি সালার থানার উক্ত কেসের তদন্তকারী অফিসারকেও পুরস্কৃত করা হয়।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অন্তর্গত সমগ্র জেলাবাসীর কাছে অনুরোধ যে…..

১) আপনার ব্যাঙ্ক ও এ. টি.এম. কার্ড সংক্রান্ত কোনো তথ্য (পিন /ও. টি. পি. ইত্যাদি) কাউকে কখনোই জানাবেন না।

২) নিজের ডেবিট /ক্রেডিট কার্ড অন্য কাউকে দেবেন না বা কার্ডে লেখা নম্বরগুলি কখনোই বলবেন না ।

3) রক্ষীহীন এ. টি.এম. কাউন্টার বর্জন করুন । এ. টি.এম. কাউন্টারে অপরিচিত ব্যক্তির কোনো সাহায্য নেবেন না ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here