বর্ষায় করোনা সংক্রমণ কি বাড়বে?

0
Spread the love

নিজস্ব সংবাদ:- গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর দেশে প্রবেশ করেছে বর্ষা। যদিও দেশের বেশ কিছু অংশে এখনো বর্ষা প্রবেশ করেনি তবে দেশের বেশিরভাগ অংশই বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে গেছে। আর বর্ষা শুরুর সাথে সাথে দেশে নতুন ভাবে একটি জল্পনা কল্পনার চর্চা শুরু হয়েছে করোনা কে নিয়ে। বর্ষায় করোনার প্রভাব বাড়বে না কমবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি তক্কো।

আমাদের দেশে করোনার প্রবেশ ঘটে মার্চ মাসের শুরুর দিকে, এই সময় দেশে শীতকালের অবসান ঘটে গরমের সূচনা হয়।শুরুর দিকে দেশের বিশেষজ্ঞমহল মনে করেছিল যে দেশে যেমন যেমন গরম বাড়তে থাকবে ঠিক তেমনি ভাবে করোনার প্রভাব কমতে থাকবে। কিন্তু আমরা দেখেছি বাস্তব ক্ষেত্রে এর বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। সময় যত এগিয়েছে দেশে করোনার প্রভাব ততই বেড়েছে। দেশে গরমের তীব্রতা চরম পর্যায়ে পৌঁছালেও করোনার সংক্রমণে লাগাম লাগানো যায়নি।

এখন বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর দেশের বিশেষজ্ঞ মহল করোনার সংক্রমনের ব্যাপারে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। একপক্ষ বলছেন বর্ষাকালে করোনার সংক্রমণ আগের তুলনায় আরো বেশি হবে। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় জল জমা হয়, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জল প্রবাহিত হয়, আর এইসব কারণে এই ভাইরাস সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে। কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কোন জায়গায় থুতু ফেলে তাহলে সেই থুতু বৃষ্টির জলে প্রবাহিত হয়ে অন্য কারও সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তিরও সহজেই করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে প্রবাহিত জল যদি অন্য কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে তাহলেও করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে অন্য পক্ষের যুক্তি, যেহেতু করোনা ভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষে মানুষে সংস্পর্শের কারণে ছড়িয়েছে সেখেত্রে বর্ষাকালে মানুষের বাইরে বেরোনোর প্রবণতা খুব কম ফলে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম রয়েছে। বৃষ্টির জল এবং জল প্রবাহের ব্যাপারে তাদের যুক্তি, বৃষ্টির জল গ্রাম ও শহরের নোংরা আবর্জনা ধুয়ে নিয়ে গিয়ে লোকালয়ের বাইরে গিয়ে ফেলবে। বৃষ্টির জল গ্রাম-শহর লোকালয় গুলিকে পরিচ্ছন্ন করে তুলবে সুতরাং প্রবাহিত জল এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে এই আশঙ্কার কোন কারণ নেই।

তবে আসলেই বর্ষাকালে  করোনা সংক্রমনের প্রভাব বাড়বে না কমবে তার জন্য আমাদেরকে আর কয়দিন অপেক্ষা করতে হবে। মুম্বাই থেকে ডাক্তার শুভজিৎ সেন জানান

“বর্ষার দুই সপ্তাহ পরেই আসল চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠবে”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here