নিজস্ব সংবাদদাতা:- অবশেষে জামিন পেলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও জামিয়া মিলিয়ার স্কলার ছাত্রী সফুরা জারগার। মানবতার খাতিরে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানায় দিল্লি হাইকোর্ট, একই সাথে সফুরা জারগার কে দিল্লির বাইরে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হিংসা সম্পর্কিত একটি মামলায় সাফুরা জারগারকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় দিল্লি পুলিশ সফুরা জারগারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন আগেই সফুরা জানতে পেরেছিলেন তিনি গর্ভবতী রয়েছেন। প্রথমদিকে কিছু লোক তার নামে কুৎসাও রটিয়েছিল তারা জানিয়েছিল একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কিভাবে গর্ভবতী হতে পারে। পরে অবশ্য জানা যায় তিনি বিবাহিত এবং তার ঘর সংসার রয়েছে আর তার স্বামীর নাম সাবুর আহমেদ সিরুয়াল। যিনি একজন কাশ্মীরের নাগরিক এবং বামপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।
করোনা আবহে একজন গর্ভবতী ছাত্রী কে দীর্ঘদিন জেলের মধ্যে পুরে রাখা নিয়ে সাধারণ লোকের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। দেশব্যাপী সফুরা কে নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ দানা বাঁধতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও দিল্লি পুলিশ আদালতে সফুরা জারগারের এর জামিনের বিরোধিতা করে বলেছিল,”কারোও গর্ভধারণ তার অপরাধের তীব্রতাকে হ্রাস করে না”।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ বিরোধী প্রতিবাদী মুখ হিসেবে সফুরা জারগার আমাদের দেশে একটি বিশেষ চর্চিত নাম। সফুরার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দিল্লি পুলিশ উল্লেখ করেছে, তিনি বিভিন্ন জায়গায় টানা বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। দিল্লি পুলিশের দাবি, সফুরার বিভিন্ন উত্তেজনা মূলক ভাষণ দিল্লি দাঙ্গার অন্যতম উপকরণ। যদিও জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রী সফুরা জারগার তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন তিনি শুধুমাত্র সিএএ এর ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করেছেন এবং আগামী দিনেও সাধারণ মানুষকে তিনি সিএএ ব্যাপারে সচেতন করবেন।