ডিজিটাল ডেস্ক:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা অবশেষে ব্যর্থ হলো। তারা দীর্ঘদিন ধরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইজরায়েলের প্ররোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষপাতী ছিল। তবে জাতিসংঘের ভোটাভুটি প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাওয়ায় আমেরিকাকে আপাতত এই প্রচেষ্টা থেকে একপ্রকার বাধ্য হয়ে পিছনে সরে আসতে হলো
মূলত ২০১৫ সালে ইরানসহ বিশ্বের পাঁচ মহাশক্তিধর দেশের সঙ্গে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একটি সম্মিলিত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মকান্ড গোপনে না রেখে তা প্রকাশ্যে আনা আর এই সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য বিশ্বের দরবারে প্রকাশ করা। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইরান দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে মুক্তি পায়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রচেষ্টা করতে থাকে। এর আগে ২০১৯ সালে জাতিসংঘে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপন করে। সেবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে অপদস্ত হয়ে পিছু হটে। এরপর তারা চলতি বছরে আরোও একবার ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপন করে। তবে চীন ও রাশিয়া ইরানের পক্ষে ভোট দেওয়ায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পিছে হটতে বাধ্য হয়।