গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মচারীরা “কন্যাশ্রী প্রকল্পে”,যেটি মূলত কিশোরী মেয়েদের কে নিয়ে গঠিত (১০ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক)। এই প্রকল্পে একজন সখি দুজন সহেলি ও ২৫ জনের একটি গ্রুপ তৈরি হয়।প্রতিটি অঙ্গনারী সেন্টার থেকে সুপারভাইজার,অঙ্গনারী ওয়ার্কার এবং পিসি, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর ও সিডিপিও এর সহযোগিতায় গড়ে ওঠে এই ২৫ জনের কিশোরী মেয়েদের গ্রুপ গুলি। যেখানে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয় তাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। যেমন ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা, কোভিড -১৯ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষায় অংশগ্রহণে বিদ্যালয়মুখী হওয়া থেকে শুরু করে ১৮ বছরের নিচে বয়সে বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, শিশু অপরাধ ইত্যাদি বিষয়ে তাদেরকে বোঝানো হয় ।খেলায় খেলায় শিক্ষা গ্রহণ (LGG) লার্নিং গার্লস ফর মেটেরিয়াল মাধ্যমে তাদেরকে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার,বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে পোস্ট অফিস, থানা, জেলা আদালত,পুলিশ স্টেশন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তাদেরকে জানানো হয়। এই প্রজেক্ট এর কাজের সাথে যুক্ত এনজিও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর ইনারা প্রত্যেকেই তাদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত আজকে দীর্ঘ ছয় মাস থেকে।
গত ছয় মাসে তারা ৬ টাকাও পায়নি এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে এ এই প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ত কর্মচারীদের থেকে। সামনে আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবঅনেকেই ভেবেছিলেন যে এই অক্টোবর মাসের মধ্যে টাকাটা পাওয়া যাবে কিন্তু সে গুড়ে বালি, কোন পয়সায় পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দয়ার পরশ পড়েনি এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত কর্মচারীদের উপর, অথচ তার রাজ্য চলছে অবিরাম গতিতে, দ্বিধাহীন ভাবে। অনেকের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন লকডাওনে কাজ নেই, কাম নেই হাতে অর্থসংকট,চাকরির বারবার অনিশ্চিয়তা রিনুয়াল হয়, ডিসেম্বর থেকে মার্চ অব্দি ,৩১ শে মার্চ পর্যন্ত রিনুয়াল হয়েছিল তার পরে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিনুয়াল হয়।এখন পরিস্থিতি আবার সংকটজনক রিনুয়াল হবে কিনা? আদৌ তাদের চাকরি থাকবে কিনা তারা শেষ ৬ মাসের বেতন পাবে কিনা এই নিয়ে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
এখন সকলেই তাকিয়েছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপর তাঁর সরকারের উপর। সরকার এই প্রজেক্টের সাথে জড়িতদের নিয়ে কি ব্যবস্থা নেন তা দেখার জন্য। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে এতগুলি কন্যাশ্রী প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ত কর্মচারীদের আগামী ভবিষ্যৎ।