নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-লোকের বাড়ি অতিথি আসলে অতিথির সর্বাত্মক চেষ্টা করেন সকলেই। অতিথি কারো বাড়ি গেলে একটু জিজ্ঞাসাবাদ কথোপকথন হয়। কিন্তু না শুধুমাত্র খাওয়া দাওয়া!অমিত শাহ্ এবং দিলিপ ঘোষ সহ যারাই খেয়েছেন তাদের ভালোভাবে সম্মানের সহিত উন্নত মানের খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আদিবাসী পরিবার শুধু মাত্র শাক ভাত খেয়েছেন। তাঁরা খুবই দুঃখপ্রকাশ করেছেন যে, তিনি একজন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েও একবার আমাদের দুর্দশার কথা জিজ্ঞেস করলেন না!
এদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, শুধু খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না।
মানবিকতা থাকতে হয়।
গরীব অসহায়দের বাড়িতে খাচ্ছেন কিন্তু তাদের কোন খোঁজ খবর নেন না! এটা জাতীয় লজ্জা হিসেবে ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।
অমিত শাহ এর আদিবাসীর বাড়ি খাওয়া যে শুধুমাত্র ফটোশুট, লোকদেখানো ও নাটক ছাড়া কিছুই নয় সেটা জলের মত পরিস্কার।।
এমনটাই মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এ ছাড়াও অনেকেই তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,
অমিত শাহ’দের যদি আদিবাসী ও মতুয়াদের প্রতি নূন্যতম সহানুভূতি ও দরদ থাকত তাহলে যে বিভীষণ হাঁসদা হতদরিদ্র হয়েও তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আপ্যায়নের জন্য, অমিত শাহ সেই নুন খেয়ে নুনের কৃতজ্ঞতা জানাতে তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনতেন।
কিন্তু যার বাড়ি খেলেন তার সঙ্গেই ঠিকমতো কথাই বললেন না অমিত শাহ, তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলেন না, তাদের কিছু সাহায্য করে গেলেন না। আপনাকে অকৃতজ্ঞ ছাড়া কিছু বলতে পারছি না। নুন খেয়ে নুন হারামী করা একেই বলে মনে হয়। “আমি খেতে ও ছবি তুলতে এসেছিলাম, খাওয়া ও ছবি তোলা হয়ে গেছে চলে যাচ্ছি”- ঠিক এমনই অবস্থা।
পরিশেষে একটি কথা মনে পড়ে গেল, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন,দু টাকা কেজি চাল কুকুর,ছাগলে খাই!