বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা: মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা

0
Spread the love

টিনিউজ ওয়ার্ল্ড ,নিজস্ব প্রতিনিধি- :এ যেন তৃতীয় বিশ্বের কোন গরীব দেশের একনায়কতান্ত্রিক রাজার কুরশি না ছাড়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। যে ঘটনা মূলত এশিয়া অথবা আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে অভ্যস্ত ঠিক সেই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকায়।

আসল ঘটনা হলো, আগামী ২০ই জানুয়ারি জো বাইডেন আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তার আগে আমেরিকার সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে জনপ্রতিনিধি জয়লাভ করেন তাঁকে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেট উভয় পক্ষ থেকে ক্যাপিটাল হিলসে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। গত বুধবার ক্যাপিটাল হিলসে জো বাইডেন কে আগামী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শংসাপত্র দেওয়ার খবর চাউর হোতেই হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটাল হিলসের বাইরে জড়ো হতে থাকে। ধীরে ধীরে ক্যাপিটাল হিলসের বাইরে বিশাল ভিড় জমে যায় ট্রাম্প সমর্থকদের। পরে পুলিশের সাথে তাদের খন্ড যুদ্ধ শুরু হয়।

এমনও খবর আসে, ট্রাম্প সমর্থকরা দীর্ঘ সময় হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভদের আটকে রাখে। পরবর্তীতে নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে তাদের আমজনতার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েক ডজন ট্রাম্প সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদিকে মার্কিন দেশে এই ঘটনার পরে নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদরা। জো বাইডেন এই ঘটনার জন্য সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কে দায়ী করেছেন।তার বক্তব্য ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য তার সমর্থনকারীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ক্যাপিটাল হিলসের চারপাশে জড়ো হতে শুরু করে। এখানে উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন,

“আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি। আপনারা দুঃখ পেয়েছেন। তবে আমি হাল ছাড়বো না। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। নির্বাচন একতরফা হয়েছে।”

আসলে মার্কিন দেশে এই ঘটনা অভূতপূর্ব। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হেরেও পরাজয় স্বীকার করতে চাইছেন না বলেই আমেরিকায় এই অদ্ভুত ও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ঘটনাকে মার্কিন গণতান্ত্রের সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here