নিজস্ব সংবাদ দাতা ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-পেট্রোল পাম্পে এই ৪টি পদ্ধতিতে আপনার সাথে প্রতা-রণা করা হয়, আপনি হয়তো বুজতেও পারেন না!
বর্তমানে পেট্রোলের দাম 86 টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে, ডিজেলের দাম ছাড়িয়েছে 75 টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার উপর নির্ভর করে পেট্রোলের দাম। কিন্তু তার থেকেও আমাদের দেশের লা-গু করা করের নিরিখে পেট্রোলের দাম আরো বেশি হয়। কিন্তু এই পেট্রোল পাম্প গুলোতে বিভিন্ন ভাবে প্রতা-রণা করা হয় গ্রাহকদের সাথে। আসুন এবার জেনে নিন-
বর্তমানে ভারতে রয়েছে প্রায় ৬২০০০ হাজারের মতো পেট্রোল এবং ডিজেলের পাম্প। কিন্তু এইসব জায়গাগুলি বেশিরভাগ জায়গায় গ্রাহকদের সাথে প্রতা-রণা করা হয়।
গ্রাহক প্রথমেই যখন তেল ভরতে যান, যদি সে 500 টাকার তেল ভরতে বলেন, তখন পাম্পের কর্মচারী অনেকসময় কথা না শোনার ভান করে 200 টাকা এন্টার করে তেল ভরতে শুরু করেন।
কিন্তু যখন আপনি তাকে ভুল ধরিয়ে দেয় তখন সে পুরনো মিটার যেখানে 200 টাকা এন্টার করা হয়েছে , সেটা ডিলিট না করেই আবার 300 টাকা বসিয়ে দেন। এর ফলে 500 টাকার তেল ভরা হয়েছে এটা আপনি ভাবলেন, কিন্তু আদতে ভরা হয়েছে 300 টাকার তেল। তাই এরকম ঘটনা ঘটলেই কর্মচারীকে বলবেন পুরনো মিটার ডিলিট করে নতুন করে ইনপুট বসাতে।
অনেক সময় পেট্রোল পাম্পের মিটারে কারচুপি করা থাকে। তাই কখনোই 50 বা 100 এর গুণিতকে পূর্ণসংখ্যায় তেল ভরাবেন না। আপনি তেল ভরবেন ৫৫, ১২০, ২৫৪ টাকা এইরকম হিসেবে। এর ফলে আপনি যতটা টাকার তেল ভরবেন ততটাই পাবেন।
পাম্পে তেল ভরতে গেলে সব সময় মিটারে চোখ রাখুন। কর্মচারীদের সঙ্গে অযথা গল্প করবেন না। স্ক্রিনে রিডিং দেখে তেল ভরান। অনেক সময় দেখবেন কর্মচারী প্রায়শই ফিলিং পাইপের লিভার বন্ধ করে দেন আবার চালু করেন, এটা তারা ইচ্ছা করেই করে, এর ফলে গ্রাহকরা সমমূল্যের তেল পাননা। তাই এই ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতি-বাদ করুন।
যখন কর্মচারী মেশিনে ইনপুট দেয় তখন তার পাম্পিং পাইপের লিভারে হাত দেওয়ার কোনো দরকারই নেই। কারন সে মেশিনে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে তার কতটা তেল দরকার। তাই যতক্ষণ না রিডিং সম্পূর্ণ হচ্ছে ততক্ষণ তাকে ট্যাংক থেকে পাইপ তুলতে দেবেন না।
যদি মনে হয় যে মিটারে কারচুপি চলছে তাহলে দু লিটারের বা এক লিটারের বোতল নিয়ে গিয়ে তেল ভরে দেখতে পারেন যে সমপরিমাণ তেল আপনি পাচ্ছেন কিনা। এই ধরনের কার-চুপি রুখতে গেলে আগে গ্রাহককে সচেতন হতে হবে।