২০০ দুস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিল “মহানুভবতার দেয়াল’’! খুশি জলঙ্গি বাসি

0
Spread the love

২০০ দুস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিল  মহানুভবতার দেয়াল’’! খুশি জলঙ্গি বাসি

সামসুজ্জামান * জলঙ্গি

টি নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহানুভবতার দেয়াল একটি অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক সমাজসেবামূলক সংস্থা। মানব সেবায় নিয়োজিত এই সংস্থা। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের জোড়তলা প্রতিক্ষালয়ে অবস্থিত এই মহানুভবতার দেয়াল। ২০১৮ সাল থেকে গুটি গুটি পায়ে দুটি বছর পার করে আজ মানুষের মনে ভীষন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংস্থা।

আজ ২য় বাৎসরিক শীতবস্ত্র অনুষ্ঠান। প্রায় ২০০-র বেশি দুস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করে নজির গড়লো সমাজসেবামূলক সংস্থা “মহানুভবতার দেয়াল”। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলঙ্গি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (B.D.O) মাননীয় শোভন দাস মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন, জলঙ্গি থানার এস.আই (S.I) খুরসেদ আলম, জলঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জোহা বিশ্বাস এবং জলঙ্গি কিশোর সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা জলঙ্গি বাজার ব্যবসায়ী (ফুটপাত) সমিতির সভাপতি শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার মহাশয় সহ আরোও অনেক সন্মানীয় অতিথি গন।

“মহানুভবতার দেয়াল” –এর এই মহান উদ্দ্যোগে খুশি সারা জলঙ্গিবাসী। বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এক মহৎ উদ্দ্যোগের হাত ধরে মানবসেবার এক মানবকল্যান কর্মের নজির গড়লো মহানুভবতার দেয়াল। তাদের এই মহৎ উদ্দ্যোগের প্রশংসা করতে গিয়ে জলঙ্গির বি.ডি.ও শোভন দাস বলেন, “এমন এক অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত এবং আনন্দিত। ভবিষ্যতে তারা যেন এই সংগঠনকে আরো মজবুত করে মানবকল্যানের দিকে অগ্রসর হয়। তার জন্য যদি আমার কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে আমি সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।” জলঙ্গি থানার এস.আই খুরসেদ আলম বলেন, “আমি আমার জীবনে অনেক থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলাম, কিন্তু এমন এমন মহৎ উদ্দ্যোগ এই প্রথম জলঙ্গিতে দেখলাম। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ পড়াশোনা, চিকিৎসা বা অন্য যে কোন আর্থিক সমস্যায় পড়েন তাহলে অবশ্যই জলঙ্গি থানায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, আমরা যতটা পারবো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।”

জোড়তলা প্রতিক্ষালয়ে রয়েছে “বিনা পয়সার বাজার।” এখানে দুস্থ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বসাধারন সবাই পোষাক সংগ্রহ করতে পারেন। গত দুই বছরে প্রায় ১০-১২ হাজার পোষাক সেখান থেকে দুস্থ মানুষ সংগ্রহ করেছে। প্রতিদিন নতুন-পুরোনো পোষাক সেখানে দেওয়া হয়। যাদের বাড়িতে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় (ব্যবহারযোগ্য) পোষাক থেকে থাকে, তারা মহানুভবতার দেয়ালে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে সাধারন দুস্থ মানুষ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here