টিনিউজ ওয়ার্ল্ড,বিশেষ রিপোর্ট:- মুখ্যমন্ত্রী মমতার গদি কি টালমাটাল? এই লাখ টাকার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক মাস। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে রোজদিন যেভাবে হাওয়া ঘুরপাক খাচ্ছে, তাতে উলট পুরাণ হওয়ার ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা কিছুটা কম, অন্তত এখনকার নিরিখে।
নিয়ম করে কিছু নেতা পালাবদল করেছেন বটে, কিছু নেতা বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন, আবার কিছু হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেছেন। এদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী নতুন সংযোজন। এতে করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে একটা জোরদার ধাক্কা লেগেছে। তবে এতকিছুর পরেও, রাজ্যজুড়ে জনমনষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কমেনি। আর এখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের আরও একবার ভোট বৈতরণী পার করার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
এটা ঠিক দলের মধ্যে বিরোধ বিক্ষোভ রয়েছে। তবে এই বিরোধ বিক্ষোভ সরাসরি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নয়। এই বিরোধ মূলত দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার বিরোধ, উপর ও নিচু তলার নেতৃবৃন্দের বিরোধ। রাজ্যের জনগণের মাঝে এখন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রোষ ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে নি। একজন দক্ষ নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সময়ের আগেই নিজের দলকে গুছিয়ে নিতে পারেন তাহলে ২০২১ এর নির্বাচনী বৈতরণী তিনি অনায়াসে পার করে দিতে পারবেন।
অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিনা লড়াইয়ে তৃণমূলের জন্য এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়। সময়ে সময়ে বিজেপি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হলেও মমতা ব্যানার্জিকে টেক্কা দেওয়ার মতো উপযুক্ত কোন মুখ বিজেপি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। ফলে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা এখনও অটুট রয়েছে। যা কিছুটা হলেও চিন্তায় রেখেছে বিজেপি শিবিরকে। বলার মতো হাতের কাছে অনেক কিছু ইস্যু থাকলেও শুধুমাত্র মুখের অভাবের কারণে বিজেপি তার ঝাঁজ দেখাতে পারছে না। যা বিজেপির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।
সবকিছু মিলিয়ে রাজ্যের শাসক শ্রেণী তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্লা কিছুটা হলেও ভারী রয়েছে। তবে এত কিছু বিচার বিশ্লেষণের পরেও, আগামী নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন তার সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।