নিজস্ব সংবাদদাতা:- মাঝে মাঝে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের উঠে আসে শিরোনামে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে প্রাণ হারাতে হলো সিরাজুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ি।প্রকাশ্যে উঠে এলো তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সাংসদ আবু তাহের খানের সঙ্গে রাণীনগর ২ ব্লকের সভাপতি গোষ্ঠী কোন্দল।
এইদিন দলীয় কর্মীর মৃত্যু নিয়ে আবু তাহের খান তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাণীনগর ২ ব্লকের সভাপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে ।অন্যদিকে শাহ আলম আবু তাহের খানকে কংগ্রেসের দালাল বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ।শাহ আলম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন ক্ষমতা থাকলে উনি আমাকে বহিস্কার করে দেখাক ।শাহ আলম রাণীনগর বিধানসভার কো অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেনের ঘনিষ্ঠ তাই দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্ধে রাজনৈতিক মহলে ভেসে আসছে সৌমিক হোসেনের নাম ।
বৃহস্পতিবার গোধনপাড়াই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয় সিরাজুল সেখ এক তৃণমূল কর্মী ।যদিও এই ঘটনার জন্য শাহ আলম কংগ্রেসের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন অন্যদিকে আবু তাহের খান এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন শাহ আলমকে এমনকি মৃত কর্মীকে তিনি তৃণমূলের কর্মী মানতে নারাজ এমনকি মৃত কর্মীকে শাহ আলমের লেঠেল বাহিনীর সর্দার বলে উল্লেখ করেন ।
এই গোষ্ঠী দ্বন্ধের পিছনে সৌমিক হোসেনের ছায়া দেখছেন দলের একাংশ ।নতুন করে জেলা কো অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি ।শুভেন্দু অধিকারী জেলা পর্যবেক্ষক থেকে সরতেই সৌমিক শিবিরে ভিড়েছে শাহ আলম ।
সৌমিক হোসেন এই বিষয়ে বলেন ‘আমি জেলা সভাপতির অনেক আগে থেকে দল করি বর্তমানে আমি এই বিধানসভার কো অর্ডিনেটর আমার সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা করা হইনি এই বিষয়ে ।
সৌমিক হোসেনের মন্তব্যের পর আবু তাহের পাল্টা বলেন “আমি অনেক পরে দলে এসেছি সৌমিক হোসেন অনেক পুরোনো নেতা তার পরও যে দিদি কেন রে জেলা সভাপতি করলেন ।এইভাবে নেতাদের কাদা ছুড়াছুড়ি প্রাণ যাচ্চে সাধারণ কর্মীদের।
গোধনপাড়ার রাজনৈতিক হিংসার নিন্দা জানান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাণীনগর বিধানসভার নেতা গোলাম হোসেন ।সরকারের কাছে তিনি বোমাবাজির ঘটনায় নিহত সিরাজুল সেখের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার দাবি জানান ।তিনি আরও বলেন অবিলম্বে এই খুনোখুনির রাজনীতি বন্ধ ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নেওয়ার আহব্বান জানান ।